বাচ্চা বিক্রি করে দিবেন বলে টুইট করলেন মা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৮শে অক্টোবর ২০১৭, শনিবার  | বিকাল ০৪:৪৭ আন্তর্জাতিক

ই-বার্তা ।। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে এক মা তার ৩ বছর বয়সী ছেলে সন্তানকে নিয়ে করেছিলেম এক মজার টুইট। আর সেই টুইটের কারণে মানবপাচারকারী সন্দেহে করা হল তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং করা হল জিজ্ঞাসাবাদ।

পরে ওই মা হতাশা নিয়ে লিখেছেন, গত সপ্তাহে আমাকে মানবপাচারকারী সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হলো। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না আমার নামে। এটাই আসলে জীবন।

মা ম্যাকড্যানিয়েল লিখেছেন, এ ঘটনার শুরু যখন চাইল্ড প্রটেকশন সার্ভিসেস এর একজন কর্মমর্তা লাফায়েতি কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ নিয়ে আমার অফিসে আসলেন। পুরো বিষয়টি বুঝতে আমার কয়েক মিনিট লেগে গেল। মনে হচ্ছিল এটা কোনো অসুস্থ কৌতুক বা ভুল বোঝাবুঝি। আমি এমন এক পরিস্থিতিতে পড়েছি যে তা বলে বোঝানোর মতো হয়। আমি ভুল কিছুই করিনি। কিন্তু আমার কাছ থেকে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তাদের আছে।

ম্যাকডেনিয়েলের টুইটার থেকে জানা যায়, মিসিসিপির চাইল্ড অ্যাবিউজ হটলাইনে কয়েক দিন আগে রিপোর্ট করা হয় যে, তিনি তার ৩ বছর বয়সী ছেলেকে বিক্রি করতে চাইছেন। মায়ের কোনো মানসিক সমস্যা রয়েছে যা তাকে এ কাজে বাধ্য করছে।

এ ঘটনায় মাকে বাধ্য করা হয় তার ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে এবং ওই কর্মকর্তা ও পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বসে কথা বলতে।

আসলে ম্যাকডেনিয়েল তার এবং ছেলের মধ্যকার কিছু কথোপকথন মজার করে লিখেছিলেন টুইটারে। এ ঘটনায় কেউ ভেবে বসেন যে, বাচ্চাটি বিপদের মুখে রয়েছে।

কিন্তু মা জানালেন, আমার ছেলের সঙ্গে যেসব কথা বলি তা আমি আরো দুই বছর আগে থেকে টুইট করি। কিন্তু যখন দেখলাম অনেক বাবা-মা তা পড়েন, তখন আমি আরো নিয়মিত লিখতে শুরু করলাম। এসব তথ্য এবিসি নিউজকে জানান মা। এ পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো সন্তানকে বড় করে তোলা। তাই আমাদের মধ্যে আনন্দ দরকার। আমার মতে, এই আনন্দটুকু আমি অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।

তিনি ভাবেননি যে তার টুইটকে মজা না ভেবে কেউ অপরাধকাণ্ড বলে ধরে নেবেন।

তবে এ ঘটনাকে একটা বড় শিক্ষা বলে মনে করছেন তিনি। বললেন, এতে বোঝা যায় যে ইন্টারনেট এক পাগলাটে জায়গা। সেখানে ভালো এবং স্মার্ট পোস্ট দিয়েও বিপদে পড়তে হতে পারে। আপনার ভালো কথাও কিন্তু নিজের জন্যে ক্ষতিকর অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।

সূত্র : এবিসি নিউজ।

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তর্জাতিক এর আরও সংবাদ