অন্তরঙ্গ ছবি চাচ্ছে ফেসবুক
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৯ই নভেম্বর ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার
| বিকাল ০৩:৫৪
ইন্টারনেট
ই-বার্তা ।। পড়েই হয়তো ভাবছেন এটা কোন ধরনের কথা! কেন, মানে কি, কিভাবে সম্ভব! এমন অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে আপনার মনে। বা ভাবতে পারেন মিথ্যে কথা। কিন্তু এ সত্যি। যেসব ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় অনেকেই বেছে নিয়েছেন মৃত্যুর পথ অথবা ধ্বংস হয়েছে কারও জীবন সেসব ছবি এবার চাচ্ছে ফেসবুক। হ্যাঁ, খুলে বলতে গেলে নগ্ন ছবিই চাচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুক বলছে, ব্যবহারকারীর নিজের এ ধরনের নিরাপত্তার স্বার্থেই নগ্ন ছবি পাঠাতে বলা হচ্ছে। আজ বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অনেকেই ফেসবুকে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেয়। একে বলা হয় “রিভেঞ্জ পর্নো”, যা সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে যে কারো জীবনে। এ ধরনের প্রতিশোধমূলক নগ্ন ছবি প্রকাশ ঠেকাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক জানায়, কোনো ব্যবহারকারী যদি আগেই তাঁদের কাছে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেন, তাহলে তারা নিশ্চিত করবে ওই ছবিটি আর কেউ কখনোই ফেসবুকে পোস্ট করতে পারবেন না। ওই ছবিটিই তারা ব্লক করে দেবে।
কিন্তু সবার মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে ফেসবুককে কি বিশ্বাস করা যায়! সেটা একান্তই আপনার নিজের বিষয়। তবে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ওই সব ছবি স্টোর করে রাখবে না। এর বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে হুবহু ছবি মেলানোর প্রযুক্তি তৈরি করা হবে। এই প্রযুক্তির কারণেই ভবিষ্যতে ওই ছবিটির আর কেউ পোস্ট করতে পারবেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়, রিভেঞ্জ পর্নো প্রতিরোধে আগামী এপ্রিলেই ফেসবুক অস্ট্রেলিয়ায় এই পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। দেশটির ই-সেফটি কমিশনার ও অনলাইন সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সরকারের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ফেসবুক এ কাজটি করবে। পরে ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডাতেও তা চালু করা হবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক সেক্সুয়াল প্রাইভেসি নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ক্যারি গোল্ডবার্গ বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। কারণ, এতে রিভেঞ্জ পর্নো বন্ধ হতে সহায়তা করতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রেও রিভেঞ্জ পর্নো ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৬ সালে ডেটা অ্যান্ড সোসাইটির জরিপে দেখা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৪ শতাংশই এর শিকার। এর মধ্যে ৩০ বছরের নিচের নারীদের ১০ শতাংশই অনলাইনে এ ধরনের হুমকির শিকার হয়েছেন। পরে অনুমতি ছাড়াই তাঁদের ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে প্রকাশ পায়।
পরবর্তী খবর টুইটারের ভরিফাই অপশন বন্ধ