ফারুকীর ডুবের পোস্টমর্টেম
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১লা নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
| রাত ০৯:৪৬
প্রতিক্রিয়া
কে এস আর সাঈদ
"ডুব" দেখলাম।
চারিদিকে এই সিনেমার প্রচুর নেতিবাচক রিভিউর ছড়াছড়ি। আর যথাযথ কারণও আছে এই সিনেমার নির্মাতা ও পিছনের গোষ্ঠীরা একটা ট্রোমা উৎপত্তি করেছেন এবং বাজারে তা যথাযথ ছয়লাপ হয়েছে প্রবল ভাবে।
সবাই জানেন যে এটা হূমায়ুন আহমেদের উপরে বানানো সিনেমা। আপনিও সরল মনে হয়তো এই ট্রোমায় পড়েছেন বা পড়বেন পড়বেন ভাব। ডুব দেখতে গেলে শুধু সিনেমার নির্জাস আহরণের প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। হূমায়ুন আহমেদ নামটা একপ্রকার প্রোপাগান্ডা আমি বলবো। এই কৌশলী মার্কেটিং প্রোপাগান্ডাই সিনেমার রস অনেকটা ম্লান করছে! আমি হূমায়ুনকে খুঁজিও নাই দেখিও নাই।
এই সিনেমায় একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার জীবনের নানামোড় আর নিদারুণ চাপা বেদনার কথা বালা হয়েছে। কি ভাবে বলা হয়েছে? যতোটা না মুখে ডায়লগে বলা হয়েছে তার চেয়ে চিত্রায়ন ও চরিত্র গুলোর আচরণ, ইমোশন, গতিবিধি সব মিলিয়ে সিনেমা যে নিজেই কথা বলে তা বলতে পেরেছে সমান ভাবে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।
এই স্বাদের সিনেমা আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকদের সিনেমার নতুন চোখ তৈরিতে সাহায্য করবে, তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অনেক ক্ষেত্রে সাহস জোগাবে।
আমাদের দেশের সিনেমায় এখন পযন্ত অন্যতম সেরা সিনেমাটোগ্রাফি দেখা গেছে এই সিনেমায়। প্রতিটা চরিত্রের হাহাকার চিত্রায়নে দারুণ ভাবে বলেছে।
ধরেন আকাশে মেঘের পাল যাচ্ছে, দেখতে দেখতে মেঘ গুলা হাতির মত দেখাচ্ছে চোখে বলে উঠলাম দেখো হাতির পাল যাচ্ছে। কিন্তু হাতির গায়ের চামড়া শক্ত আর মেঘের গা নরম, শীতল।
হূমায়ুন আহমেদ, হূমায়ুন আহমেদ ব্যাপারটা আমার কাছে এমনি মনে হয়েছে। আমি হূমায়ুন আহমেদ কে দেখতে যাইনি, উনিও আমাকে দেখা দেননি, দেখা দিয়েছেন ফিল্ম মেকার জাবেদ হাসান ও তার পরিবারের চাপা কষ্ট। যা বলা যায় না, চরিত্র গুলো অতিমাত্রায় প্রকাশ করতে পারে না, কিন্তু ঠিকি আপনি এই কষ্ট অদ্ভুত ভাবে আচ পাবেন।
দুঃখজনক হলো সবাই হূমায়ুন কে দেখতে গিয়ে সিনেমা না দেখেন ফিরতেছে দর্শক।দর্শক সমাগম হতাশাজনক যা এই সিনেমার প্রতি অবিচার। এই দায় ফারুকী এড়াতে পারবেন না, উনি বহুলাংশে দায়ী।ফারুকী বিরাগী হয়ে যদি আপনি এই সিনেমাকে বিচার করেন আর হূমায়ুন আহমেদের জীবনের চিত্রায়ন খোঁজে বেড়ান পুরা সিনেমা জুড়ে তবে আপনি দর্শক হিসাবে নিজে ঠকবেন, সিনেমাকে ঠকাবেন।