সবাই প্রস্তুত তো?


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২১শে নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার  | বিকাল ০৩:৪২ লাইফ

ই-বার্তা।। একটি বিয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে করার পিছনে পরিশ্রম থাকে অনেক মানুষের। অনেক খরচও গুনতে হয় দুই পরিবারকে। এত খরচ আর এত পরিশ্রম তখনই সার্থক হয়, যখন বিয়েটা ঠিক মনের মত করে সম্পন্ন হয়। আর যদি এত পরিশ্রমের পরেও কোনো কিছু গোলমেলে হয়ে যায় তাহলে যেন সব আনন্দ, সব পরিশ্রমই মাটি হয়ে যায় আয়োজকদের। তাইতো বিয়ের আয়োজনে কোনো খুঁত থাকলে চলবেনা। মাথায় রাখতে হবে অনেকগুলো বিষয় যা আপনাকে একটি নিখুঁত বিয়ের অনুষ্ঠান উপহার দিবে। আসুন দেখে নেই কি কি বিষয় আগে থেকেই খেয়াল করতে হবে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য।

১। বিয়ের ক্ষেত্রে শপিং কথাটি আসে সবার আগে। বিয়ে মানেই অনেক অনেক শপিং। আর এত কিছু কেনার থাকে যে অনেক সময়ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কিনতে ভুলে যান অনেকেই। তাই শপিং মলে যাওয়ার আগে তালিকা করতে হবে সবার আগে। কি কি কিনতে হবে তার তালিকা করে নিন এবং বাড়ির বড়দের দিয়ে কয়েকবার দেখিয়ে নিন কিছু বাদ পড়ে গেছে কিনা। যাতে হুট করে কোনো কিছুর অভাব না হয়।

২। গায়ে হলুদ, বিয়ে ও বৌভাত যে স্থানগুলোতে হবে সেখানে আগে থেকেই কয়েকবার গিয়ে সমস্ত ডেকোরেশন বারবার ডেকোরেটরকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ডেকোরেশনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা করতে ভূলবেন না।

৩। বিয়েবাড়ির সাথে ভূড়িভোজের একটা ওতোঃপ্রতো সম্পর্ক রয়েছে। বিয়েবাড়ির খাবার ভালো না লাগলে সব অতিথিই নারাজ হয়ে যায়। তাইতো বাবুর্চি বেছে নিন তার রান্না আগে থেকে টেস্ট করে। একটি দুটি নয় বরং বিয়েবাড়িতে যে যে আইটেম থাকবে সবগুলিই আগে একবার চেখে দেখুন যে মনের মতো হয় কিনা।

৪। অতিথিদের খাবার বেড়ে খাওয়ানো এখন আর দেখা যায়না। তারপরেও যদি প্লেটে খাবার পরিবেশন করে খাওয়ানোর চিন্তা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ওয়েটারদের আগে থেকে ট্রেনিং দিয়ে দিন।

৫। বিয়ে বাড়িতে মিউজিক থাকবেনা তা কি হতে পারে? মিউজিক আগে থেকেই


বাছাই করে রাখুন। সাউন্ড বক্স ও ঠিক আছে কিনা আগে থেকেই দেখে নিন। এমন মিউজিক রাখবেন যা বিয়ের আমেজকে ধরে রাখতে পারে। গায়ে হলুদে বিভিন্ন বাংলা গান আর বিয়ের দিনে সানাইয়ের আওয়াজটাই বেশি ভালো লাগবে। মনে রাখবেন উচ্চ ভলিউমে গান ছাড়বেন না। এতে অতিথিদের অনেকেরই অসুবিধা হয়।

৬। অনেক সময় দেখা যায় বর এসে উপস্থিত, অতথি এসে উপস্থিত কিন্তু দেখা মেলেনা বৌয়ের। এরকমটি হয় পার্লারে সাজতে গিয়ে অনেক সময় লাগার কারণে। মাথায় রাখবেন সময়ের ব্যাপারটি। দরকার হলে নির্ধারিত সময়েরও দুই ঘন্টা আগেই পার্লারে পৌঁছে যাবেন সাজতে যাতে অতিথি ও আপনার বর এসেই আপনার সুন্দর মুখশ্রীটি দেখতে পায়।

৭। বিয়েতে সব থেকে আনন্দ করে ছোটরা ও বর-কনের বন্ধুরা। গেট ধরা, হাত ধোয়ানো, মালা বদল, জুতো চুরি, আয়নায় মুখ দেখা আরো কত আয়োজন থাকে তাদের। অনেক সময় বড়দের তাড়াহুড়োয় এগুলো খুবই গোলমেলে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই সবাইকে অবগত করতে হবে কিসের পরে কি ইভেন্ট হবে বিয়ের অনুষ্ঠানে। সব থেকে ভালো হয় একটা মাইক্রোফোন থাকলে। এতে করে ঘোষোণা দিয়ে দেয়া যাবে কিভাবে সাজানো হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানটি।

৮। বিয়ের সুন্দর সুন্দর মুখগুলো আর মূহূর্তগুলো ধরে রাখতে ছবি তোলা ও ভিডিও তো রাখতেই হবে। এখন সকলে বিভিন্ন ওয়েডিং কোম্পানীগুলো দিয়েই নিজেদের অনুষ্ঠানের ফটোসেশন ও সিনেমাটোগ্রাফি করায়। এক্ষেত্রে আপনার নির্ধারিত ফটোগ্রাফার ও সিনেমাটোগ্রাফারের সাথে বসে একসাথে সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি ধরণের ছবি ও ভিডিও চাচ্ছেন। ফোটগ্রাফারের কোনো স্পেশাল লাইট বা সাজসজ্জার প্রয়োজন থাকলে সেগুলোও আগে থেকে রেডী রাখুন।

৯। বিয়েবাড়ির এই কাজগুলো কোনোভাবেই একজন বা দুইজন মানুষ সঠিকভাবে করতে পারবে না, করা সম্ভবও নয়। তাই সবাই মিলে আলোচনা করে কাজগুলো সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। তবেই একটি সুষ্ঠ সুন্দর আনন্দদায়ক বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

লাইফ এর আরও সংবাদ