ঠাই নাই
ই-র্বাতা
প্রকাশিত: ২৭শে এপ্রিল ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার
| সন্ধ্যা ০৬:২৫
কবিতা
শ্বরবিন্দু শ্যামলী
ঐখানেই ছিল আমার সোনার সংসার।
আসন পাতিয়া বসিয়াছিলাম,
জলের তোড়ে ভেসে।
কূল কিনারা ভাঙ্গিয়া লইয়াছিল,
আবারও পদ্মা নদী!!
সেই তটিনীরে দিয়াছি কবেই,
সুদূরে রাগে ঠেলি।
হাফ ডজনের ছেলে মেয়ে নিয়ে,
ডজন খানেক হাঁস,
ঘর বাধিয়াছি তালি জোড়াতে,
শনপাতা আর বাঁশ।
গ্যাদার বাপের পানের দোঁকান,
আমার বাসাবাড়ি!
ছোট পোলাডারে হেলপারে দিছি,
পড়ালেখা কুরবানি।
বড় মাইয়্যাটারে বিয়া দিবার,
কত না খুঁজি পোলা!!
নাই বা থাকলো চেহারা ছবি,
না থাকুক কোন জোলা।
মেজো মেয়েটা ফুঁল বেঁচে ফেরে,
যখন সন্ধ্যা ঘোর!
প্রতিবেলাতেই চিন্তায় মরি,
শেষ কতনা জানি দূর!!
মেজো মেয়ের পরেই যে আছে,
পুনাই তাহার নাম!
সারাদিন ভর গান গেয়ে বেড়ায়,
নাই তার কাজ কাম।
হেরপরে এক্যাবারে গত বছর যে এলো!
হওয়ার পরেই খিচুনী উঠিয়া,
পুলাডা মরিয়া গেলো।
বৃষ্টিতে ভিজে পোলা মাইয়্যারা কাইন্দা কাটিয়া কয়,
আর কে আছে আমগো মতন!
এতোটা কষ্ট সয়?!
ঠাস করে গালে চর লাগায়ে,
ধমক দিয়া বলি!
সেদিন যে বড় পলিথন আনিলাম,
দুই দিনেই হারাইলি ?
পোলার বাপের নিউমোনিয়া,
খুক খুক করে কাঁশে,
পেইচা পোলাডা কাশির আওয়াজে,
না বুজেই খালি হাঁসে।
রোদেও পুড়ি, পুলিশের বারি,
হাজার পশ্ন করে,
কেন দুনিয়ার সব জাগা থুই,
এই হানেই সব মরে!!?
পুরা দুনিয়াতে জাগা বেশি নাই,
গ্যাদার বাপে কয়।
এই আকাশটা ঐখানেই নামা,
আমারও মনে অয়।
আগের খবর নিগুঢ় উদ্যানে
পরবর্তী খবর " আমি হবো জয়ী "
- ফারহানা মোবিন